নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীতে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হাতে রাজন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত রাজন মালদা কলোনী এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এলাকায় রাজ্জাকের একটি পান সিগারেটের দোকান রয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর মালদা কলোনীতে রাজনকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সোহেল। এ ঘটনায় হত্যাকারী সোহেল ও তার চাচা রহীমকে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত হাসুয়াসহ আটক করা হয়। হত্যাকান্ডের মুলহোতা অভিযুক্ত সোহেল একই এলাকার আরমানের ছেলে ও রহীম একই এলাকার মৃত আঃআলেফের ছেলে।
জানা যায়, মালদা কলোনী এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো রাজন। আর হত্যাকারী সোহেল এর পিতা আরমান আলীসহ পুরো পরিবার গাঁজার ব্যবসা করতো। গাাঁজা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে সোহেল হাসুয়া দিয়ে স্থানীয়দের প্রকাশ্যে কোপ মারে রাজনকে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যূ হয়।
ছবিতে নিহত রাজন, ডানে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত হাসুয়া।
স্থানীয়দের মতে গত ৭/৮মাস আগে হত্যাকারী সোহেলের মাকে বোয়ালিয়া থানা পুলিশে মাদকসহ ধরিয়ে দিয়েছিলো নিহত রাজন। দির্ঘ ৭/৮মাস জেল খেটে সোহেলের মা বেরিয়ে এসে তার ছেলেকে দিয়ে এমন হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে জানান তারা।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, দোকানী রমজান একই এলাকার আরমান আলীর ছেলে মো. সোহেলের কাছে টাকা পেতেন। তারা দুজনে বন্ধুও। শনিবার বেলা ১১টার দিকে সোহেল দোকানে গেলে রমজান টাকা চান। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সোহেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে রমজানের তলপেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। প্রকাশ্যে অনেক মানুষের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। পরে লোকজন গুরুতর আহত রমজানকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, নিহত রমজানের মরদেহ রামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর এ নিয়ে হত্যাকারী সোহেল ও তার চাচা রহীমকে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত হাসুয়াসহ আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলেও জানান বোয়ালিয়া থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।